চুয়াডাঙ্গার সাথে মেহেরপুর এলাকার যোগাযোগ উন্নত করার জন্য ১৯৫৬ সালে যুক্তফ্রন্ট সরকারের আমলে মাথাভাঙ্গা নদীর উপর ব্রিজটি নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়। ১৯৫৮ সালে আইয়ুব খানের সামরিক শাসন আমলে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ৫০০ ফুট লম্বা ব্রিজটি নির্মাণ করার জন্য তখন ১০ লাখ টাকা ব্যয় হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাক বাহিনী চুয়াডাঙ্গা ছেড়ে চলে যাবার প্রাক্কালে ব্রিজটি উড়িয়ে দেবার জন্য এর পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে ডিনামাইট বসায়। তখন পূর্বদিকের ডিনামাইট বাস্ট হয়ে ব্রিজের একাংশ নষ্ট হয়ে যায়। এতে মেহেরপুরের সাথে চুয়াডাঙ্গার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। দেশ স্বাধীন হবার পর মাটি দিয়ে ভাঙ্গা অংশ ভরাট করে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করা হয়।অত্র সদর উপজেলার অত্যন্ত মনোরম অন্তঃসলীলা ও খরস্রোতা নদী মাথাভাঙ্গা। মাথাভাঙ্গা নদিটি পদ্মার শাখা নদী। চিত্রা, নবগঙ্গা,ভৈরব ইত্যাদি মৃতপ্রায় নদীগুলো মাথাভাঙ্গার উপ নদী। বৈাচিত্রময় এই নদীটির সাথে এ অন্চলের জনসাধারণের জীবনযাত্রা অতপ্রোতভাবে জড়িত। মাথাভাঙ্গার নদীর উপরে সুদৃশ্য একটি সেতু রয়েছে। সেতুটির দৈঘ্য=১৪০ মিটার।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS